কৌতুক (বাংলা)

লেখক: General Category: কৌতুক (Jokes) Edition: Dhaboman - Fall 2018

বাংলাদেশর বিভিন্ন জায়গা চিনবেন কিভাবে?

দৃশ্য ১ : দুজন লোক মারপিট করছে, ৩য় ব্যক্তি, এলো, দেখলো, চলে গেলো। - তাহলে এটা রংপূর।

দৃশ্য ২: দুজন লোক মারপিট করছে, ৩য় ব্যক্তি এলো, মারপিট থামাতে গেল। প্রথম দুজনে এক হয়ে ৩য় লোককে ধরে পিটিয়ে দিল। - বুঝবেন এটা কুমিল্লা ।

দৃশ্য ৩ : দুজন লোক মারপিট করছে, ৩য় ব্যক্তি এলো, বললো আমার বাড়ির সামনে মারপিট করো না,অন্য কোথাও যাও। - এটা খুলনা ।

দৃশ্য ৪ : দুজনে মারপিট করছিল, ৩য় ব্যক্তি এক কার্টুন বিয়ার নিয়ে এলো,তিনজনে একসাথে বসে পড়লো। খিস্তি খামারি করলো তিনজন মিলে। তারপর বন্ধুত্ব পাতিয়ে বাড়ি ফিরে গেল।

- তাহলে আপনি নিশ্চিত সিলেট গেছেন।

দৃশ্য ৫: দুজন লোক মারপিট করছিল, কিছুক্ষন বাদে দুজনেই মোবাইলে কথা বলতে লাগলো আর তারপরেই ৫০ জন লোক এসে মারপিটে যোগ দিল। - দাদা আপনি এখন আছেন নারায়নগঞ্জ

দৃশ্য ৬ : দুজন লোক মারপিট করছিল। ৩য় ব্যক্তি এসে বন্দুক বের করে দুজনকে গুলি করে দিল। - চট্টগ্রাম আছেন আপনি

দৃশ্য ৭ : দুজন লোক মারপিট করছিল। ৩য় ব্যক্তি এসে দুজনকেই থাপপড় দিয়ে বলল, মারামারি করস কেরে ? - নিশ্চিত থাকুন আপনি এখন ঢাকায় ।

দৃশ্য ৮ : দুজন লোক মারপিট করছিল। ৩য় ব্যক্তি এসে কোনো কিছু না বুঝেই প্রথম লোকের সাথে মিলে ২য় লোককে ধরে পেটাতে লাগলো। - ঠিক ধরেছেন, বরিশাল।

দৃশ্য ৯ : যদি দেখেন রাস্তায় ২ জন মারামারি করছে আর চা দোকান থেকে আরো ৪-৫ জন গিয়ে ওই ২ জনকে গণধোলাই দিয়ে ২ জনকেই হাসপাতালে পাঠায়,তাহলে বুঝে নিবেন আপনি ময়মনসিংহ/কিশোরগঞ্জ চলে এসেছেন

দৃশ্য ১০ : দুজন লোক মারপিট করছে। আশেপাশে প্রচুর লোক দেখছে আর মোবাইলে ফটো তুলছে... একজন লোক এলো। চায়ের একটা স্টল খুলে বসে পড়লো।

- হেঃ হেঃ আপনি একদম নিঁখুত ধরেছেন। এটা নোয়াখালি!

 

................................................................................................।

 

স্বামী: আমার বুদ্ধি দেখছো! কেমন  কইরা বাধর্ক্য ভাতা পাইলাম!

স্ত্রী: কি করে পাইস?

স্বামী: ইন্টারভিউয়ের সময় বুকের বোতাম খোলা রাখছিলাম। ব্যস, পাকা লোম দেইখাই দিয়া দিছে।

স্ত্রী: প্যান্টের চেইন খোলা রাখতা তাইলে তো বিকলাঙ্গ-ভাতাও পাইতা।

 

................................................................................................।

 

এক ৬০ বছরের বৃদ্ধ তার বিয়েতে বিশাল পার্টি দিয়েছে। তার বন্ধুরা হিংসায় জ্বলছে। কিভাবে সে এই বৃদ্ধ বয়েসে ২৩ বছরের এক সুন্দরী স্ত্রী পায়?

বন্ধুরা তাকে প্রশ্ন করতে বৃদ্ধ মুচকি হেসে বলল, “বয়েস ভাঁড়িয়েছি”।

বন্ধুরা অবাক হয়ে বলল, “বয়েস কত বলেছিস?”

“৮৭।”

 

 

এক মহিলা ফোন করে বললঃ হ্যালো মফিজ সাহেব, আপনার সাথে আমার একটু দেখা করা এবং কথা বলা দরকার কারন আপনি আমার এক বাচ্চার বাবা। কিছুটা অবাক এবং হতবাক হয়ে মফিজ বললঃ– ওহ মাই গড, কি বলছেন??? আপনি তো দেখি আমার মান-সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিবেন। আচ্ছা আপনি কি মাধবী?

মহিলাঃ– না !

মফিজঃ– চৈতী ?

মহিলাঃ– না না !

মফিজঃ– ইভা ?

মহিলাঃ– না না না !

মফিজঃ- মিলা ?

মহিলাঃ– না না না না !

মফিজঃ– তাহলে প্রভা ?

মহিলাঃ– না….না….. না… না…না….স্যার, আমি আপনার ছেলের স্কুলের শিক্ষিকা!!
............................................................................................

মোবাইল ফোনের ব‍্যবসায়ী বল্টু পেটের অসুখ নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গিয়ে রোগের বর্ণনা দিচ্ছে তার পেশাগত ভাষায় -

স‍্যার, পুরো আনলিমিটেড আউটগোয়িং হচ্ছে। পেটে অনবরত ভাইব্রেশন আর সাথে নতুন নতুন রিংটোন শোনা যাচ্ছে। পেটের ব‍্যালেন্স শেষ। রিচার্জ করলেও পাঁচ মিনিটেই ডিসচার্জ হয়ে যাচ্ছে। মিসকল দিলে কল রিসিভ হয়ে যাচ্ছে। বড় কষ্টে আছি .......... প‍্যাকেজটা বন্ধ করে দিন স‍্যার!
............................................................................................

নবাব সাহেব: বেগম, ভাবছি এবার দুসরি শাদীটা করেই ফেলি..

বেগম: এই বয়সে দ্বিতীয় শাদীর খায়েশ কেন?

নবাব:(বেগমের দিকে তাকিয়ে) এই সিক্সটির মডেল তো অনেক চালালাম.. এখন এ শতাব্দীর একটা মডেলও তো কাছে থাকা দরকার!

বেগম: বড়ই ওয়াজিব কথা বলেছেন; তো জনাব নিজে চালাবেন না ড্রাইভার রাখবেন?

 

............................................................................................

 

সদ্য হানিমুন ফেরতা এক যুগল ট্রেনে ফিরছিল....

মেয়েটা ন্যাকামো করে বলল, 
"এই, আমার না খুব মাথাব্যথা করছে."

ছেলেটা চকাস করে মেয়েটার কপালে চুমু খেয়ে বলল, 
"হামি দিয়ে দিলাম, ঠিক হয়ে যাবে."

কিছুক্ষণ পরে মেয়েটা আবার আহ্লাদী সুরে বলল, 
"আমার বড্ড হাতে ব্যথা করছে."

ছেলেটা হাতে চুমু খেয়ে বলল, 
"এইতো, আমি আদর করে দিলাম, ভালো হয়ে যাবে."

সামনে সিটে বসা এক বৃদ্ধ অনেকক্ষণ ধরে যুগলের কীর্তি দেখছিলেন. হঠাত তিনি ছেলেটাকে বললেন, 
"বাবা,  তুমি কি পাইল্স্-এরও চিকিৎসা কর?"

 

............................................................................................

 

ভীড় রাস্তায় এক উকিলের সাইকেলের মাডগার্ডে লেগে ভবেশবাবুর ধুতি ছিঁড়ে গেলো !
ভবেশবাবু সাথে সাথে উকিলকে হাত ধরে সাইকেল থেকে নামিয়ে বললেন -যাচ্ছেন কোথায়? আমার ধুতির দাম দিয়ে যান!
উকিল জিজ্ঞেস করলেন -কত ?

ভবেশবাবু বললেন - ২০০/
উকিল পকেট থেকে দুশো টাকা বের করে দিয়ে দিলেন! ভবেশবাবু দুশো টাকা পকেটে পুরে যেই রওয়ানা হবেন, উকিল ভবেশবাবুর হাত ধরে বললেন-যাচ্ছেন কোথায়? আমার ধুতি দিয়ে যান! ধুতির দাম দিয়ে দিয়েছি, এখন এই ধুতি আমার।
তখন সেখানে বেশ কিছু লোকের ভিড় জমে গেছে, তারাও ভবেশবাবুকে বলছে  -উনি যখন আপনাকে ধুতির মূল্য দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে তো উনি এখন ধুতির মালিক; আপনি ধুতি খুলে উকিলবাবুকে দিয়ে দিন!
ভবেশবাবু বলছেন -উনাকে ধুতি দিয়ে দিলে আমি কি এই লোকভরা রাস্তায় উলঙ্গ হয়ে ঘরে যাবো?
উকিল বললেন -আমি এসব জানি না, আপনি আমার ধুতি আমাকে দিয়ে যান।
ভবেশবাবু বাধ্য হয়ে বললেন -আপনি আপনার দুশো টাকা ফেরত নিয়ে নিন, আমি ছেঁড়া ধুতি লাগিয়ে কোনমতে ঘরে চলে যাবো।
উকিল বললেন -আমার ধুতি আমি দুই হাজার টাকার কমে বেঁচবো না, লাগলে বলুন!
কি আর করা! ভবেশবাবু দুই হাজার টাকা দিয়ে ছেঁড়া ধুতি নিয়ে ঘরে ফিরলেন। বউকে বললেন-লোকটা যে উকিল ছিল বুঝতে পারি নি...

............................................................................................

 

কোনো এক ব্রাহ্মণ পরলোকে গিয়ে ভগবানের সাক্ষাতপ্রার্থীদের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর সামনে সানগ্লাস পরা টি শার্ট আর জিনস্ প্যান্ট পরা একটি ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটি ভগবানের কাছে এগিয়ে যেতেই ভগবান প্রশ্ন করলেন, ‘তুমি কে?’

‘বাস ড্রাইভার।’  ছেলেটা জবাব দিল।

ভগবান বললেন, ‘এই নাও উলের কম্বল। আর ভেতরে গিয়ে সোনার খাটটার দখল নাও।’

ছেলেটি চলে যাবার পর ব্রাহ্মণকে ভগবান জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কে?’

‘প্রভু আমি ৪৫ বছর ধরে পৃথিবীতে আপনার মহত্বের কথা প্রচার করেছি।’

ব্রাহ্মণের উত্তর শুনে ভগবান বললেন, ‘এই নাও সুতির চাদর। আর ভেতরে গিয়ে কাঠের খাটটা নিয়ে নাও।’

একথা শুনে ব্রাহ্মণ বললেন, ‘প্রভু এটা কি ঠিক হলো? আমি পৃথিবীতে আপনার মহত্ব প্রচার করে পেলাম কাঠের খাট আর বাস ড্রাইভারটি বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে পেল সোনার খাট?’

ভগবান বললেন, ‘বৎস! তুমি যখন আমার কথা প্রচার করতে তখন ভক্তরা সবাই ঘুমাতো। আর ওই ড্রাইভার যখন বেপরোয়া গাড়ি চালাতো তখন সবাই সজাগ হয়ে অত্যন্ত আকুল প্রাণে আমাকে ডাকতো। পৃথিবীতে তোমার কী পজিশন ছিল তা স্বর্গে বিচার করা হয় না। এখানে দেখা হয় পারফরমেন্স।’